বাস্তব অভিজ্ঞতার
আলোকে
ডাক্তার বনাম
ফার্মেসী
ইঞ্জিনিয়ার বনাম
মিস্ত্রি
কিছু বাঙালীদের
একটা বদঅভ্যাস
আছে তারা
ডাক্তার দেখানোর
পর ডাক্তারের
নির্দেশিত পরিমানে
ঔষধ সেবনে
গাফেল। ডাক্তার
৩০/১৫/১০ দিন যাই
লিখেন না
কেন তারা
অসুখ সেরে
যাওয়ার সাথে
সাথেই ঔষধ
খাওয়া বাদ
দিয়ে দেয়।
কেননা আমি
নিজে চাক্ষুষ
দর্শন করেছি
যে অনেক
পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ
ডাক্তাররের কাছে
প্রেসক্রিপশন লেখিয়ে
নিয়ে এসে
সুপরিচিত
ফার্মেসিওয়ালাদের সাথে
পরামর্শ করেন।
অনেক ফার্মেসির
মহাপণ্ডিত উনারদের
পণ্ডিতি জাহির
করিতে গিয়ে
ঔষধের মাত্রা
এবং পরিমান
কমিয়ে দেন।এমনকি
এন্টিবায়োটিক এর
পরিমান কমাতেও
তারা দ্বিধাবোধ
করেন না।
তাদের বক্তব্য
আরে ভায়া
৩/৭
দিনই আগে
খেয়ে দেখুন
নাহলে পরে
দেখা যাবে।
পন্ডিতমশাই ডাক্তারের
কথা ততক্ষণে
ভুলেই গেছেন।
অবশেষে ফার্মেসীওয়ালার
কথামতো ব্রেকিং
ডোজ নিয়ে
বাড়ি ফিরেন।
৩/৭দিন
পর যখন
অসুখও সেরে
যায় তখন
অল ক্রেডিট
গৌস টু
৬/৯
পিচ এন্টিবায়োটিক। অনেকেই দেখেছি
সামান্য জ্বর
বা পাতলা
পায়খানা হলেই
মেট্রো, প্যারাসিটামল
এর পরিবর্তে
২/৪টা
এন্টিবায়োটিক
কিনে নিয়ে
যায়। অথচ
এন্টবায়োটিক সেবনে
মানুষকে সতর্ক
করার জন্য
আজকাল স্বাস্থ্য
মন্ত্রনালয় এন্টিবায়োটিক
সপ্তাহ পালন
করে থাকে।
ফার্মেসিওয়ালারা এখানেও
নির্বাক। কারন
ব্যবসাই যেখানে
মুল উদ্দেশ্য
সচেতনতা সেখানে
নিষ্প্রয়োজন।
কিন্তু এর
পরিনাম যে
কি হয়
সেটা সাধারণত সৃষ্টিকর্তা আর
স্বাস্থকর্মী ছাড়া
আর কেউ
জানেন না।আমরা
শুধু এটাই
জানি আগেকার
মানুষ ১০০
বছর বাঁচতো
এখনকার মানুষ
৭০ বছর
বাঁচে।
[যদিও এর
ভিন্ন কারনও
আছে]
এবার আসি
ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে।
আজকাল শুনেছি
ইঞ্জিনিয়ার থেকে
ড্রয়িং নিয়ে
মালিক পক্ষ
ও মিস্ত্রিরা
ঐ ড্রয়িং
এর ওপর
পিএইচডি থিসিস
কমপ্লিট করেন।
তারা কতকিছুই
যে আবিস্কার
করেন সেটা
নাকি বলাবাহুল্য। তাদের গবেষণায়
উঠে আসে
;
আকলিছ চাচ্চুর
বিল্ডিংয়ে তিন
সুতা রড
মকলিছ চাচ্চু
কেন ৫
সুতা দিবে!
🙄
আচদ্দর আলীর
কলামে
৩টা রড
মছদ্দর আলী
কেন ৪টা
মেনে নিবে?
🤔
ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত
দুটি বিষয়
মাথায় নিয়ে
কাজ করে। একটা হলো
প্রেজেন্ট
স্ট্যান্ডিং আরেকটা
হলো ফিউচার
ফিনিশিং।
একজন ইঞ্জিনিয়ার
কোন ফর্মুলায়
ডিজাইন করে
সেটা আমজনতা
বা মিস্ত্রিদের
ধারনার বাহিরে।
আর ভবিষ্যতে
যখন বিল্ডিং
মেয়াদোত্তীর্ণ হবে
তখন তাদের
পরবর্তী প্রজন্মের
সাথে কি
ঘটবে সেটা
তাদের কল্পনার
বাহিরে।
সভ্যতার পরিবর্তনের
জোয়ার লেগেছে
গ্রামেগঞ্জে।
গড়ে উঠছে
অনেক ছোট
বড় দালান।
কেউ নিজের
বুদ্ধিতে কেউ
আবার মিস্ত্রিদের
যুক্তিতে।
ঝুকিপূর্ণ দালানগুলোও
ঠায় দাড়িয়ে
আছে।
যদি মাটির
ভারবহন ক্ষমতা
হ্রাস না
পায় এবং
পাকৃতিক দুর্যোগের
কবলে না
পড়ে তাহলে
তারা এভাবেই
দাড়িয়ে থাকবে
নির্দিষ্ট সময়।
কিন্তু অস্থায়ী
দুনিয়ার বিল্ডিংগুলোও
আজীবন স্থায়ী
থাকবেনা।
তারা তাদের
জীবনকালের অবসান
ঘটাবে।
ঠিক তখনই
ইঞ্জিনিয়ারিং ফর্মুলার
বিল্ডিংগুলো সতর্কবানী
দিয়ে বলবে
তোমরা বেরিয়ে
যাও আমি
আর পারছিনা।
আর মিস্ত্রিদের
বিল্ডিংগুলো পরবর্তী
প্রজন্মকে মুহুর্তেই
মাটির সাথে
মতো মিশিয়ে
দিয়ে দুই
লাইন কবিতা
শুনাবে;
মিস্ত্রির কথায়
তোদের পুর্বপুরুষ
করেছিলো মহা
পাপ,
তোদের কপালেই
বুঝি লেখা
ছিলো
আমার এই
নির্মম চাপ।